ডিজিটাল শিক্ষা দিবসে প্রত্যেক শিক্ষকের তিনটি জিনিস করা উচিত

 

একাধিক শ্রেণীকক্ষে শিক্ষা দেওয়া হোক, বা মধ্যরাত্রি পর্যন্ত উত্তরপত্রিকা যাচাই করা অথবা ছাত্র-ছাত্রী তে ভরা শ্রেণীকক্ষ পরিচালনা করা হোক যারা সারা দিনে পুরোপুরিভাবে মাত্র শুনতে চায়, একজন শিক্ষক হওয়া সহজ কাজ নয়| 2012 থেকে 22সে ফেব্রুয়ারী তে ডিজিটাল শিক্ষার দিবস অনুষ্ঠিত হয় যেটি সমস্ত কঠোর পরিশ্রমী শিক্ষকদের জন্য উৎসর্গীকৃত একটি দিন যারা সাম্প্রতিক বছরের সবচেয়ে বেশি প্রচলিত শিক্ষণ পদ্ধতি– ডিজিটাল শিক্ষার [1] সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করেন| সচেতন শিক্ষকরা পিসি পেলে অনেক রকমের সুযোগ উন্মোচন করতে পারেন, ডিজিটাল শিক্ষার দিবসে প্রত্যেক শিক্ষকের নিম্ন তিনটি জিনিস করা উচিত:

1) কিছু নতুন অন্বেষণ করা

সমস্ত শিক্ষকরা চান যে তাদের ক্লাস ব্যস্ত থাকুক এবং কার্যত তাদের জ্ঞাপন করা তথ্য গ্রহণ করুক| এই ডিজিটাল শিক্ষার দিবসে, সাধারণ রুটিন পরিবর্তন করুন| এটি ভিডিও, নতুন ওয়েবসাইট অথবা এমনকি গেম ও হতে পারে – ক্লাস চলাকালীন কোন নতুন জিনিস করার চেষ্টা আপনার সবচেয়ে অনাগ্রহী ছাত্র-ছাত্রীর দলকে ও লক্ষ্য করতে বাধ্য করবে!

2) আপনার পিসির ব্রাউসারে সবচেয়ে ভালো সংস্থানগুলিকে বুকমার্ক করুন

বুকমার্ক করার আগে, আপনাকে এরূপ সংস্থান সম্পর্কে অন্বেষণ করতে হবে যেগুলি আপনার ক্ষেত্রে কাজ করে এবং তারপর আপনি সময় পেলে সেগুলিকে পরীক্ষা করবেন, প্রয়োজন হলে একাধিক বার| টেস্ট রান করা এড়ানো যেতে পারে না, ভাবুন যদি আপনি ক্লাসে প্রথম বার ওয়েবসাইট খুলছেন তাহলে আপনার ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতিক্রিয়া অনুমান করুন যদি খোলার পর এটি বলে “আপনার দেশে উপলব্ধ নয়”!

3) অন্য শিক্ষককে মেন্টর করুন

অন্য শিক্ষকের মেন্টরিং করার সবচেয়ে বড় লাভ হল যে আপনি আপানর দক্ষতায় শীর্ষে থাকা মনস্থ করবেন| এরূপ হবে কারণ আপনি আপনার মেন্টীকে সবচেয়ে ভালো পরামর্শ দেওয়ার জন্য উৎসাহিত থাকবেন, যাঁর ফলে আপনার স্কুল অথবা স্থানীয় এলাকায় নতুন অথবা একজন শিক্ষক জুনিয়র কে মেন্টর করা পেশাগতভাবে আপনার উন্নতির জন্য একটি বিশাল প্রেরণা হবে|

যেহেতু মুদিখানার জিনিস থেকে শুরু করে ব্যাঙ্কের কাজ পর্যন্ত প্রায় সর্বত্র প্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে, তাই এটি কে স্কুলের জন্য ও সক্রিয়ভাবে ব্যবহার করা আবশ্যক| কম্পিউটার ব্যবহারের লাভ আজকের ছাত্র-ছাত্রীদের আগামীকালের জন্য তৈরি করার উদ্দেশ্যের চেয়েও বেশি – শিক্ষকরা ও তাদের কাজে আরো ও ভালো হতে পারেন এবং অবশেষে তাদের কেরিয়ারের পথকে পরিবর্তন করতে পারেন| ডিজিটাল শিক্ষা দিবসের সুভেচ্ছা!